• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ব্যতিক্রম কাজ করছেন এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী ইউনুছ বিশ^াস

প্রকাশ:  ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ১১:২৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 দেশের দৃশ্যমান ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং তৃণমূল পর্যায়ে স্থানীয় সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের অন্যতম বিভাগ হচ্ছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বা এলজিইডি। সংস্থাটির চাঁদপুর জেলার প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ইউনুছ বিশ^াস এক ব্যতিক্রমী কর্মকর্তা হিসেবে ইতিমধ্যে সকলের নজর কেড়েছেন।
মোঃ ইউনুছ বিশ^াস গত ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি চাঁদপুর এলজিইডিতে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদানের পর থেকেই তিনি ভিন্ন মাত্রায় এ বিভাগ ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়ে তা অব্যাহত রেখেছেন।
অবশ্য এর পূর্বেও তিনি এ বিভাগের চাঁদপুরে সিনিয়র প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পূর্বের পদে থাকাবস্থায় তিনি তাঁর মেধা-যোগ্যতায় অর্জিত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে এ বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এবং সুধীজনদের নজর কেড়েছেন। নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদানের পর থেকে ভিন্ন আঙ্গিকে চাঁদপুরকে এগিয়ে নেয়ার কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
তিনি পূর্বসূরিদের থেকে আলাদা আঙ্গিকে কিছু পরিকল্পনা হাতে নেন। এর অংশ হিসেবে তিনি তাঁর আওতাধীন অধীনস্থ সকল উপজেলায় সশরীরে উপস্থিত হয়ে উপজেলা  প্রকৌশলী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে প্রতি মাসের কার্যক্রমের অগ্রগতি বিষয়ে পর্যালোচনা সভা করেন। তিনি প্রথমে উপজেলা কর্মকর্তাদের বক্তব্য শোনেন, সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং সমস্যা সমাধান করে উন্নয়ন কাজগুলো দ্রুত মানসম্মত উপায়ে শেষ করার পদক্ষেপ অব্যাহত রাখেন।
এলজিইডির কাজগুলো বাস্তবায়ন করার দায়িত্বে থাকা সকল ঠিকাদারকে স্ব স্ব উপজেলায় অনুষ্ঠিত মাসিক সভায় দাওয়াত দিয়ে এনে কাজের অগ্রগতি জানেন এবং মানসম্মত কাজ সম্পন্ন করার আহ্বান জানান।
শুধু তাই নয়, তিনি এ বিভাগের সকল কাজের বিষয়ে প্রতি মাসেই কোনো না কোনো উপজেলায় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথেও সভা করে এই বিভাগের কাজের স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা এবং সকলের সহযোগিতায় মানসম্মত উন্নয়ন কাজগুলো বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা চান। যা চাঁদপুরের এলজিইডির জন্যে একটি নতুন পরিকল্পনা এবং মাইফলক বলে সকল মহলে আলোচিত।
এলজিইডি চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ইউনুছ বিশ^াসের গৃহীত এই পদক্ষেপগুলোতে অবশ্য বিভাগের সকলে এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারগণ সাধুবাদ জানান। তাদের মতে, এ ধরনের উদ্যোগের ফলে বিভাগের সম্মান ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে।

 

সর্বাধিক পঠিত